কেউ বেঁচে থাকার প্রয়োজনে আবার কেউ স্রেফ বিলাসিতার বেছে নিচ্ছেন পৃথিবীর আদিমতম পেশাটিকে। অনেক মেয়ে রাতের বেলা নিজেদের বিলিয়ে দিলেও দিনের বেলা তারা কলেজ গার্ল। কলেজ ড্রেস পরে তারা দিব্য কলেজে যাচ্ছে অন্য দশটা সাধারণ মেয়ের মতোই। এভাবে ওয়াদি, হিংনা, কালমেশ্বর, কেম্পটি থেকে হাজার মেয়েরা পড়াশোনা বা কাজের খোঁজে এসে নিজেদের বিলিয়ে দিচ্ছেন টাকার জন্য। ভরসা পেগেল নামে একটি এনজিওর ম্যানেজার মিসেস জ্যাকিল যিনি পতিতাপল্লীর বাইরের যৌনকর্মীদের জন্য এইডস নিয়ে কাজ করছেন। তিনি জানান, বেশির ভাগ মেয়েরা ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী। তারা সবাই গরীব পরিবার থেকে এসেছে তা নয়। অনেকে আছেন, সম্ভ্রান্ত মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য। তারা পড়াশোনার পাশাপাশি বাড়িতে আয়ের জন্য রাতে বেশ্যাবৃত্তির পথ বেছে নিয়েছে। এদের মধ্যে নার্সিং, আর্টস, কমার্স, ও
বিজ্ঞানের ছাত্রীও আছে। আমরা তাদেরকে পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করছি। তিনি আরো জানান, এই শিক্ষার্থীরা যেহেতু অল্প বয়সী তাই তারা খদ্দেরের কাছ থেকে ভাল টাকা পায়। তারা এটা সরাসরি খদ্দেরের কাছ থেকে নেয় অথবা তাদের দালালের মাধ্যমে নেয়। তারা প্রতিরাতে ৬হাজার থেকে ১০হাজার রুপি পর্যন্ত পেয়ে থাকে। আর ঘন্টায় দেড় হাজার থেকে দুই হাজার রুপি। পুরোটাই নির্ভর করে খদ্দেরের উপরে। তারা গড়ে সপ্তাহে দুই এই খেপ দিয়ে থাকে। এসব মেয়েদের উপার্জনের অর্থে অনেকেই সংসারের খরচে ব্যয় করা হয়। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তারা দামী মোবাইল সেট, দামী মেক-আপ সেট, কাপড়-চোপড় ইত্যাদির পেছনে খরচ করে। এবং এই মেয়েদের সবাই মাছের মত মদ্যপানে অভ্যস্ত।
ভিডিও টি দেখতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন।
Blogger Comment
Facebook Comment